1,448 বার দেখা হয়েছে
"হিন্দু ধর্ম" বিভাগে করেছেন
সম্পাদিত

image

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
হিন্দু ‘ধর্ম’ আসলে কোনো একটা সুনির্দিষ্ট ধর্ম না। কনফুসীয় ‘ধর্ম’ বা লাও ‘ধর্ম’ বা শিন্টো ‘ধর্ম’ -এর মতোই একগুচ্ছ আচার-আচরণ, দর্শণ, সংস্কৃতির একটা মিশ্রণ। এই ধরণের ‘ধর্ম’ এর সাথে খ্রীশ্চান, ইসলাম, ইহুদী বা বৌদ্ধ ধর্মের প্রকৃতিগত তফাৎ রয়েছে। এই কারণে হিন্দু ধর্মের ‘এইটা করতে হবে’, বা ‘ওইটা করতে হবে না’ এই ধরণের বিধানে নানা গ্রন্থ ও রীতির ঐক্যমত দেখা যায় না। সুতরাং গরুকে মায়ের সাথে তুলনা ও পুজো করা, হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ না। বিশেষ আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে এর সূচনা হয়েছে। ‘ঋগ্বেদ’ - এ পাই অগ্নির খাদ্য - ‘বলদ ও গাভী’, রাজসূয়, বাজপেয় ও অগ্নিষ্টোম যজ্ঞের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল ‘গোসব’ বা গো বলি, ‘শতপথ ব্রাহ্মণ’-এ ছিট-ছিট দাগের একটি গরুকে মরুৎদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়েছে, ‘তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ’ অনুসারে পঞ্চশারদীয়াসব (দর্শপূর্ণমাস) যজ্ঞের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল তিন বছরের কম বয়সী সতেরোটি গাভীকে অগ্নিদগ্ধ করা। তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণে বলা হয়েছে ‘অথো অন্নং বৈ গৌঃ’ অর্থাৎ ‘ গরু অন্ন ন্যায়, অতএব খাদ্যই বটে’। ঋগ্বেদ (দশম, ৬৮.৩) এ অতিথির আগমনে গো হত্যার পরিষ্কার বর্ণনা আছে। ‘ধর্মসূত্র’ অনুসারে মহাঋষি যাজ্ঞবল্ক্যের প্রিয় খাদ্য ছিল গোমাংস। অবশ্য বৈদিক যুগে দুগ্ধবতী গাভীর হত্যার ক্ষেত্রে এবং গর্ভবতী গাভী হত্যার ক্ষেত্রে কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু গরুকে ‘পবিত্র’ মনে করা হত না বা গোমাংসকে নিষিদ্ধ। কৃষি ব্যবস্থার বিস্তারের সাথে সাথে গবাদী পশু ক্রমশ অপরিহার্য হয়ে ওঠে। ‘বৈদিক যুগ’ এর ‘শিকারী-সংগ্রাহক’ জীবনের যে শেষ ছোঁয়া ছিল, তপোবন কেন্দ্রিক জীবন ছিল, ষোড়শ মহাজনপদের উত্থানের পর তা একেবারে মুছে যায়। এই সময় বৈদিক ধর্মের স্থানে আচার সর্বস্ব ব্রাহ্মণ্য ধর্ম ক্রমে জাঁকিয়ে বসে। বলি, যজ্ঞ ক্রমশ বেড়ে যায়। নতুন স্থায়ী কৃষি সমাজ এটা মানতে রাজি ছিল না। তাঁদের আর প্রতিবাদী ধর্ম আন্দোলনের চাপে গো-হত্যা, বলদ হত্যার উপর নানা নিষেধাজ্ঞা চাপে। কিন্তু তখনও লোকদর্শনে গরুর পুজো হিন্দু ধর্মের অপরিহার্য বা প্রধাণ অংশ হয়ে ওঠেনি। সে হতে আরও হাজার বছর লাগবে, ‘মনু সংহিতা’ অবধি। যাই হোক, আসল কথা হল, অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের সাথে সাথে কৃষি ব্যবস্থার বিস্তার আর ক্রমবর্ধমান গবাদী পশুর প্রয়োজন গরুকে ক্রমে সম্মানের আসনে বসিয়েছে, তাকে মায়ের সাথে তুলনা করেছে। কৃষি ভিত্তিক ভারতীয় সমাজে বলদের জন্মদান থেকে দৈনিক দুগ্ধ যা দুর্ভিক্ষের সময়ও প্রাণ রক্ষা করত, তার অবলম্বণ ছিল গরুই। মাতারূপে গরুর উপাসনার কারণ মূলতঃ এটাই। (বাংলা কোরা থেকে সংগৃহীত )
করেছেন

image শ্রুতি শাস্ত্রের কোথাও গরুকে মাতৃ জ্ঞানে পূজা করার নির্দেশ দেওয়া নেই। কিন্তু গো হত্যাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে (যজুর্বেদ ১৩।৪৯ ছবি যুক্ত করা হয়েছে)

এছাড়াও শুধু গরু নয় সকল পশুকে হত্যা না করে বরং রক্ষা ও বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে (যজুর্বেদ ৬।১১)

গরুকে মা ভেবে পূজা করাটা অনেকে হয়তো শ্রদ্ধা স্বরূপ করে থাকে কারণ গরু উপকারী এবং নিরীহ পশু। 

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

0 টি উত্তর
18 জুন, 2024 "হিন্দু ধর্ম" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
2 টি উত্তর
15 ডিসেম্বর, 2019 "হিন্দু ধর্ম" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন ওয়াহিদ
1 টি উত্তর
15 ডিসেম্বর, 2019 "হিন্দু ধর্ম" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন ওয়াহিদ
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
26 ফেব্রুয়ারি, 2021 "হিন্দু ধর্ম" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন তানহা
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
5 মার্চ, 2021 "হিন্দু ধর্ম" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন তানহা
2 টি উত্তর
15 ডিসেম্বর, 2019 "হিন্দু ধর্ম" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন ওয়াহিদ

36,270 টি প্রশ্ন

35,483 টি উত্তর

1,742 টি মন্তব্য

3,808 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
7 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 7 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 2911
গতকাল ভিজিট : 7358
সর্বমোট ভিজিট : 53214461
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...