169 বার দেখা হয়েছে
"রোগ ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
সাধারণত শীত আসলে যেসব চর্মরোগ হয়......

নাম্বার ০১

আমরা অনেকেই হয়তো জানি না যে, শীত এলে বেশ কিছু চর্ম রোগ দেখা যায় যা কিনা গরমকালে তেমন একটা লক্ষ্য করা যায় না। আর একটা ব্যাপার আমরা প্রায়ই লক্ষ্য করে থাকি যে, রোগীরা এসে বলে শীত এলে তার শরীর খুবই চুলকায়। অথচ রোগীর শরীর পরীক্ষা করলে কিন্তু কিছুই দেখতে পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে চুলকানির মূল কারণ হচ্ছে শীত এলে তার ত্বক অধিক পরিমাণে শুষ্ক হয়ে যায় আর এ শুষ্কতার কারণ হচ্ছে বাতাসে যেহেতু শীতকালে জলীয় বাষ্প কমে যায় তাই বায়ুমন্ডল ত্বক থেকে পানি শুষে নিয়ে যায় ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে এবং ত্বকে চুলকানি শুরু হয়। সেই চুলকানি আরো বেড়ে যায় যখন নখ বা অন্য কিছু দিয়ে বারবার চুলকানো হয়।

মনে রাখতে হবে আপনি যতই চুলকাবেন চুলকানির গতি ততই প্রবল হতে থাকবে। তাই নখ দিয়ে কখনই চুলকানো উচিত নয়। যদি একান্তই অসহ্য হয় তবে সে ক্ষেত্রে হালকাভাবে হাতের তালু দিয়ে চুলকানো যেতে পারে। যদি শুষ্কতার কারণেই এরকম চুলকানি দেখা দেয় তাহলে ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক ভালো থাকে। ময়েশ্চারাইজার পাওয়া না গেলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলেও ত্বক ভালো থাকে। চুলকানির পরিমাণ মারাত্মক হলে গ্লিসারিনের সঙ্গে পানি মিশিয়ে ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যাতবে গ্লিসারিন ব্যবহারের সমস্যা হচ্ছে যে ত্বক আঠা আঠা হয়ে যায়।

সেক্ষেত্রে একটি টাওয়েল দিয়ে অতিরিক্ত গ্লিসারিনটুকু চেপে তুলে নিলে ত্বকের আঠালো বা চট চটে ভাবটা কেটে যায় এবং ত্বক খুবই ভালো রাখা সম্ভব।

নাম্বার ০২

একজিমার নাম আমরা সবাই জানি। সেই একজিমাও কিন্তু শীত এলে বাড়তে পারে। তাই একজিমায় আক্রান্ত রোগীদের আমরা সব সময়ই বলে দেই ভালো হওয়ার পরও যেন সেই স্থানটি শুষ্ক হতে দেয়া না হয়। একটি বিশেষ ধরনের একজিমা আছে যার নাম হচ্ছে জেরটিক একজিমা । এটি সাধারণত চল্লিশ বছরের ঊর্ধ্বের লোকদের হয়। 

এটি শীত এলেই বাড়ে কারণ শীতে বাতাসের জলীয় পদার্থ কমে যায়। এক্ষেত্রে শুষ্ক ত্বকের গায়ে ফাটা ফাটা দাগ ও হালকা পরিমাণ আঁইশ লক্ষ্য করা যায়। কখনো কখনো ত্বক পুরো হয়ে পড়তেও দেখা যায়। একটা কথা মনে রাখা খুবই প্রয়োজন ত্বক চুলকালে ত্বক পুরো হতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তা শক্ত ও অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে থাকে।

নাম্বার ০৩

আর একটি রোগ আছে যার নাম আমরা প্রায় সবাই জানি। রোগটি হচ্ছে স্কেবিস। বাংলায় খুজলি পাঁচড়াও বলে থাকেন অনেকেই। এটির সঙ্গে যদিও সরাসরি শীতের বা বাতাসের আর্দ্রতার কোনো সম্পর্কের কথা জানা যায় না তবুও দেখা গেছে এ রোগটি শীত এলেই ব্যাপক আকারে দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশুরা এতে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হতে থাকে। হতে পারে শীতকালে যেহেতু এক বিছানায় একত্রে অনেকেই চাপাচাপি করে শোয় সে কারণে রোগটি এ সময়ে ব্যাপকভাবে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারে। এ রোগটি আমাদের দেশের গরিব শ্রেণীর মধ্যে বেশি হতে দেখা যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যে সব শিশু স্কুলে যায় তারাই এতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এটি একটি জীবাণুবাহিত রোগ। এক্ষেত্রে শরীরে অসম্ভব রকম চুলকানি হতে দেখা যায় এবং রাতে চুলকানির তীব্রতা আরো বাড়ে। রোগটি খুব সাধারণ হলেও চিকিৎসায় দেরি হলে, এমন সব অবস্থা নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসে যে ভালো অভিজ্ঞতা না থাকলে অনেকেই ভুল চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে সাধারণত ঘরের একাধিক ব্যক্তি এ রোগে ভুগে থাকেন। ফলে ঘরের সবাইকেই এ রোগের চিকিৎসা এক সঙ্গে করাতে হয় নয়ত ভালো হয়ে এ রোগ আবার তার দেহে দেখা দেবেই।

এছাড়াও কিছু কিছু রোগ আছে যেমন হাম ও চিকেন পকস। এগুলোর সঙ্গে আমরা খুবই পরিচিত। এগুলো ভাইরাসজনিত চর্ম রোগ। লক্ষ্য করলে দেখতে পাব যে এগুলো শীতকালেই বেশি হয়ে থাকে।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
2 জানুয়ারি, 2021 "রোগ ও চিকিৎসা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
2 জানুয়ারি, 2021 "রোগ ও চিকিৎসা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
18 মে, 2023 "রোগ ও চিকিৎসা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
0 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
3 টি উত্তর
1 টি উত্তর

36,270 টি প্রশ্ন

35,483 টি উত্তর

1,742 টি মন্তব্য

3,808 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
2 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 2 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 13298
গতকাল ভিজিট : 7358
সর্বমোট ভিজিট : 53224840
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...