স্তন ফুলে যাওয়া এবং ব্যথা হওয়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে, এবং এটি স্বাভাবিক বা চিকিৎসা সংক্রান্তও হতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ ও করণীয়:
১. মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল (ঋতুস্রাবের আগে)
অনেক নারী মেনস্ট্রুয়াল সাইকেলের আগে স্তনে ফুলে যাওয়া এবং ব্যথা অনুভব করেন। এটি হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে ঘটে, যা সাধারণত স্বাভাবিক এবং কিছুদিনের মধ্যে নিরাময় হয়।
করণীয়: যদি এটি ঋতুস্রাবের আগের লক্ষণ হয়, তবে সাধারণত কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে, ব্যথা কমানোর জন্য হালকা গরম বা ঠান্ডা সেঁক, পেইনকিলার (যেমন প্যারাসিটামল) বা স্তন কসম্প্রেস ব্যবহার করতে পারেন।
২. গর্ভাবস্থা
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে স্তনে ফুলে যাওয়া এবং ব্যথা হতে পারে। এটি একটি সাধারণ লক্ষণ, কারণ শরীর হরমোনের পরিবর্তন থেকে বিভিন্ন পরিবর্তন অনুভব করে।
করণীয়: যদি আপনি গর্ভাবস্থার সম্ভাবনা মনে করেন, গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করতে পারেন এবং যদি নিশ্চিত হন, গাইনোকোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করুন।
৩. স্তনের সংক্রমণ (Mastitis)
স্তনে সংক্রমণের কারণে ব্যথা, লালচে ভাব বা তাপ অনুভূতি হতে পারে। এটি সাধারণত স্তনপান করানোর সময় বা অন্য কারণে হতে পারে।
করণীয়: এই ধরনের সংক্রমণের জন্য ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।
৪. স্তনের সিস্ট বা টিউমার
কখনো কখনো স্তনে সিস্ট বা টিউমার হতে পারে, যা ফুলে যাওয়া এবং ব্যথার কারণ হতে পারে।
করণীয়: যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়, বা ফুলে যাওয়ার সাথে অন্য কোনো লক্ষণ (যেমন, গা dark ় দাগ, দৃশ্যমান শুল্ক) থাকে, তবে একটি স্তন পরীক্ষার জন্য ডাক্তারকে দেখানো উচিত।
৫. হরমোনাল অস্বাভাবিকতা
কিছু হরমোনাল অস্বাভাবিকতা (যেমন, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম বা PCOS) স্তনে ব্যথা ও ফুলে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
করণীয়: এই ক্ষেত্রে, হরমোন পরীক্ষা এবং চিকিৎসার জন্য ডাক্তার পরামর্শ দেবেন।
সার্বিক পরামর্শ:
যদি ব্যথা খুব তীব্র হয় বা অন্যান্য অস্বাভাবিক লক্ষণ (যেমন, স্নায়ু সংক্রান্ত সমস্যা, স্তনে গাঁথা বা পিণ্ড) থাকে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করুন এবং কোনো পরিবর্তন দেখলে সঠিক সময়ের মধ্যে চিকিৎসককে জানান।