ডিবাগিং হলো প্রোগ্রামিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা সফটওয়্যারের ত্রুটি (বাগ) শনাক্ত ও সমাধান করার জন্য ব্যবহার করা হয়। প্রোগ্রাম চলাকালীন যদি কোনো সমস্যা বা ত্রুটি দেখা দেয়, সেটি ঠিক করার পদ্ধতিকে ডিবাগিং বলা হয়।
ডিবাগিং কেন প্রয়োজন?
-
প্রোগ্রাম যাতে সঠিকভাবে কাজ করে তা নিশ্চিত করা।
-
সফটওয়্যারের কার্যক্ষমতা বাড়ানো।
-
ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করা।
-
বড় প্রকল্পে সফটওয়্যার ক্র্যাশ বা নিরাপত্তা সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস করা।
ডিবাগিং-এর ধাপসমূহ:
-
ত্রুটি শনাক্তকরণ:
কোড রান করার সময় বা ব্যবহারকারী রিপোর্টের মাধ্যমে যেখানে ত্রুটি হচ্ছে তা খুঁজে বের করা।
-
ত্রুটির উৎস খোঁজা:
ত্রুটির মূল কারণ চিহ্নিত করা। এটি লজিক্যাল ত্রুটি, সিনট্যাক্স ত্রুটি, বা রিসোর্স সম্পর্কিত ত্রুটি হতে পারে।
-
কোড বিশ্লেষণ:
প্রোগ্রামের সেই অংশ পর্যবেক্ষণ করা যেখানে সমস্যা হচ্ছে।
-
সমাধান প্রয়োগ করা:
ত্রুটি সংশোধনের জন্য কোড পরিবর্তন করা।
-
পুনঃপরীক্ষা:
সংশোধিত কোড চালিয়ে দেখে নেওয়া যে ত্রুটি সম্পূর্ণরূপে ঠিক হয়েছে কিনা এবং নতুন কোনো সমস্যা তৈরি হয়েছে কিনা।