ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। এর ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
সুবিধা:
১. তথ্যের সহজলভ্যতা: ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো তথ্য খুব সহজে এবং দ্রুত পাওয়া যায়।
২. যোগাযোগের সুবিধা: বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে অবস্থিত মানুষের সাথে সহজে যোগাযোগ করা যায়।
৩. শিক্ষার সুযোগ: অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ঘরে বসেই বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা যায়।
৪. ব্যবসায়িক সুযোগ: অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে পণ্য ও সেবা বিক্রি করা যায় এবং নতুন বাজার তৈরি করা যায়।
৫. বিনোদন: সিনেমা, গান, গেমস এবং সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে বিনোদন উপভোগ করা যায়।
৬. সরকারি সেবা: অনেক সরকারি সেবা এখন অনলাইনে পাওয়া যায়, যা সময় ও শ্রম বাঁচায়।
৭. গবেষণা: বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজ এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য ইন্টারনেট একটি অপরিহার্য মাধ্যম।
৮. ক্রাউডফান্ডিং: নতুন উদ্যোগ বা প্রকল্পের জন্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা যায়।
৯. চাকরি খোঁজা: বিভিন্ন অনলাইন জব পোর্টালে সহজেই চাকরি খোঁজা যায় এবং আবেদন করা যায়।
১০. অনলাইন ব্যাংকিং: ঘরে বসেই ব্যাংকিং সেবা, যেমন - অর্থ স্থানান্তর, বিল পরিশোধ করা যায়।
অসুবিধা:
১. ভুল তথ্য: ইন্টারনেটে অনেক ভুল তথ্য পাওয়া যায়, যা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
২. সাইবার অপরাধ: হ্যাকিং, পরিচয় চুরি এবং অনলাইন জালিয়াতির শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
৩. আসক্তি: ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে আসক্তি তৈরি হতে পারে, যা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
৪. সময় নষ্ট: অপ্রয়োজনীয় কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে অনেক সময় নষ্ট হয়।
৫. ব্যক্তিগত গোপনীয়তা: ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি থাকে।