পৃথিবীর চারপাশে থাকা অদৃশ্য গ্যাসীয় আবরণই হলো বায়ুমণ্ডল। এই বায়ুমণ্ডলের উপাদানগুলো যখন স্থান পরিবর্তন করে, তখন তাকে বাতাস বলে। বায়ুমণ্ডলে মূলত ৭৮ শতাংশ নাইট্রোজেন, ২১ শতাংশ অক্সিজেন এবং ১ শতাংশ অন্যান্য গ্যাস থাকে।
বাতাস যেভাবে তৈরি হয়:
-
তাপমাত্রার পার্থক্য:
-
সূর্যের তাপে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থান বিভিন্নভাবে উত্তপ্ত হয়।
-
গরম বাতাস হালকা হয়ে উপরে উঠে যায় এবং ঠান্ডা বাতাস ভারী হয়ে নিচে নেমে আসে।
-
এই তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণেই বাতাসের প্রবাহ সৃষ্টি হয়।
-
চাপের পার্থক্য:
-
তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে বায়ুমণ্ডলে চাপের পার্থক্য তৈরি হয়।
-
বাতাস উচ্চচাপের স্থান থেকে নিম্নচাপের স্থানের দিকে প্রবাহিত হয়।
-
এই চাপের পার্থক্য বায়ুপ্রবাহের প্রধান কারণ।
-
পৃথিবীর ঘূর্ণন:
-
পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণেও বাতাসের গতিপথ পরিবর্তিত হয়।
-
পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বে দিকে ঘোরে, তাই বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তন হয়।