ক্রিকেটে "নো বল" হলো বোলারের একটি অবৈধ ডেলিভারি। যখন একজন বোলার বোলিং করার সময় কিছু নিয়ম ভঙ্গ করেন, তখন আম্পায়ার সেই বলটিকে "নো বল" হিসেবে ঘোষণা করেন। নো বলের কারণে ব্যাটিং দল অতিরিক্ত রান পায় এবং আরও একটি বল খেলার সুযোগ পায়।
নো বল হওয়ার কয়েকটি প্রধান কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:
* ফুট ফল্ট (Foot Fault): বোলিং করার সময় বোলারের পা পপিং ক্রিজের বাইরে পড়লে অথবা সাইড লাইনের বাইরে পড়লে সেটি নো বল হিসেবে গণ্য হয়। বিশেষ করে ফাস্ট বোলারদের ক্ষেত্রে এই নিয়মটি খুব কঠোরভাবে দেখা হয়। স্পিনারদের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হয়।
* ডেলিভারির সময় পা: বল ডেলিভারি দেওয়ার সময় বোলারের পেছনের পা যদি রিটার্ন ক্রিজের ভেতরে না থাকে তাহলেও সেটি নো বল হয়।
* বিপজ্জনক বোলিং (Dangerous Bowling): যদি বোলার ব্যাটসম্যানের জন্য বিপজ্জনকভাবে বল করেন, যেমন - ব্যাটসম্যানের কোমর বা তার বেশি উচ্চতায় ফুল টস বল করা (বিমার) অথবা অতিরিক্ত বাউন্সার দেওয়া, তাহলে আম্পায়ার সেই বলটিকে নো বল ডাকতে পারেন।
* বোলিং অ্যাকশন (Bowling Action): যদি বোলারের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ হয় (যেমন - কনুই ১৫ ডিগ্রীর বেশি বাঁকানো), তাহলেও সেটি নো বল হিসেবে গণ্য হতে পারে।
* মাঠের অবস্থার পরিবর্তন: ফিল্ডিং করার সময় ফিল্ডার যদি ইচ্ছাকৃতভাবে মাঠের অবস্থার পরিবর্তন করে, তাহলে আম্পায়ার নো বল ডাকতে পারেন।
নো বলের ফলাফল:
* ব্যাটিং দল অতিরিক্ত ১ রান পায়। এই রানটি ওয়াইড রানের মতো ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত স্কোরে যোগ হয় না, এটি দলের স্কোরে যোগ হয়।
* ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার সুযোগ হারায় (কিছু বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া, যেমন - রান আউট, হিট উইকেট, হ্যান্ডলড দ্য বল, অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড)।
* বোলারকে আরও একটি বৈধ বল করতে হয়।
* কিছু ফরম্যাটে (যেমন - টি-টোয়েন্টি) নো বলের পরের বলটি "ফ্রি হিট" হয়, যেখানে ব্যাটসম্যান কয়েকটি বিশেষ পদ্ধতিতে (যেমন - বোল্ড, কট, লেগ বিফোর উইকেট) আউট হতে পারে না।
নো বল ক্রিকেট খেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা খেলার গতি এবং ফলাফলে প্রভাব ফেলে।