272 বার দেখা হয়েছে
"বাংলার ইতিহাস" বিভাগে করেছেন

3 উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
ইংরেজ শাসনামলে বাংলায় প্রতিরোধ আন্দোলনগুলি ছিল বিভিন্ন সময় এবং বিভিন্ন কারণে সংগঠিত। এর মূল প্রেক্ষাপট ছিল ইংরেজ শাসনের অধীনে বাংলা ও ভারতীয় জনগণের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শোষণ। এই শোষণ প্রতিরোধে আন্দোলনগুলি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং বাংলা ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল স্তম্ভে পরিণত হয়।

প্রেক্ষাপট:

১. ইংরেজ শাসন ও শোষণ: বাংলায় ইংরেজরা নিজের শাসন প্রতিষ্ঠা করে ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে মীর জাফরের মাধ্যমে। এরপর, তারা বাংলার অর্থনীতি, সমাজ এবং সংস্কৃতিতে ব্যাপক হস্তক্ষেপ করে। বাংলার জমিদারি ব্যবস্থা, রাজস্ব আদায় এবং ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের ওপর ইংরেজদের কড়াকড়ি বৃদ্ধি পায়। জমিদারদের শোষণ এবং কৃষকদের ওপর অত্যাচারের ফলে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

২. সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন: ইংরেজরা শিক্ষাব্যবস্থা, ধর্মীয় প্রথা ও সংস্কৃতিতে হস্তক্ষেপ শুরু করে। বাংলা সমাজে আধুনিক শিক্ষার প্রচলন ও কিছু সামাজিক সংস্কারের পাশাপাশি ধর্মীয় বিভিন্ন আঘাতও ঘটে, যা সামাজিক অস্থিরতা ও প্রতিরোধের সৃষ্টি করেছিল।

৩. অর্থনৈতিক শোষণ: ইংরেজ শাসন বাংলা তথা ভারতীয় অর্থনীতিকে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের উপকারে ব্যবহার করেছিল। বাংলার শিল্প-কারখানা ধ্বংস হয়ে যায়, এবং কৃষকরা শোষিত হয়। বিশেষ করে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। অর্থনৈতিক শোষণ এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতি অসন্তোষ মানুষকে প্রতিরোধ আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করে।

প্রতিরোধ আন্দোলনগুলির তাৎপর্য:

১. স্বাধীনতার সংগ্রামে অবদান: বাংলার প্রতিরোধ আন্দোলনগুলি পরবর্তীকালে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়। এসব আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামকে একটি শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করে, যা পরে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার মাধ্যমে পূর্ণতা পায়।

2. সামাজিক ও রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি: বাংলার মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে শুরু করে। সমাজে ন্যায়, অধিকার এবং স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গড়ে ওঠে। এর ফলে ভারতীয় জনগণের মধ্যে জাতীয়তাবোধ ও ঐক্য দৃঢ় হয়।

3. বিনাশী শোষণ ব্যবস্থা উচ্ছেদের পথে পদক্ষেপ: বাংলার প্রতিরোধ আন্দোলনগুলি ইংরেজদের শোষণ ব্যবস্থা ও দমননীতির বিরুদ্ধে ছিল। এর মাধ্যমে জনগণ বুঝতে পারে যে ইংরেজ শাসন বজায় রাখতে হলে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

৪. আধুনিক রাজনৈতিক চেতনা ও আন্দোলনের সূত্রপাত: বাংলার প্রতিরোধ আন্দোলনগুলি পরে জাতীয় রাজনৈতিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে পরিণত হয়। যেমন ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধের আন্দোলন, চক্রান্তমূলক আন্দোলন, এবং পরে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন।

কিছু উল্লেখযোগ্য আন্দোলন:

১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ: যদিও এটি মূলত সিপাহী বিদ্রোহ হিসেবে পরিচিত, বাংলার জনগণও এতে অংশগ্রহণ করেছিল। এই বিদ্রোহটি ছিল ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম বড় ধরনের প্রতিবাদ।

দ্বিতীয় বাংলা যুদ্ধ: বাংলার জমিদাররা ইংরেজদের শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একাধিক চেষ্টা করেন। এর মধ্যে বিদ্রোহ ও বিদ্রোহী নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন (১৯০৫): এ আন্দোলন ইংরেজ শাসনের বঙ্গভঙ্গ নীতির বিরুদ্ধে ছিল, যা বাংলার জনগণের মধ্যে জাতীয়তাবোধকে আরো শক্তিশালী করে তোলে।

উপসংহার:

ইংরেজ শাসনামলে বাংলায় প্রতিরোধ আন্দোলনগুলি কেবল রাজনৈতিক সংগ্রামের অংশ নয়, বরং সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক মুক্তির লক্ষ্যে জনসাধারণের মূলে বিদ্যমান অশান্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম ছিল। এই আন্দোলনগুলি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম আলোচনার সূচনা করে, যা পরবর্তী সময়ে বৃহত্তর প্রতিবাদ ও আন্দোলনের রূপে পরিণত হয়।
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
ইংরেজ শাসনামলে বাংলায় প্রতিরোধ আন্দোলন ছিল ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এসব আন্দোলন, বিশেষত সিপাহী বিদ্রোহ (১৮৫৭), বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন (১৯০৫), এবং অন্যান্য স্থানীয় বিদ্রোহ, বাংলার জনগণের মধ্যে জাতীয়তাবোধ এবং স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে উজ্জীবিত করেছিল। এর প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য কিছু বিস্তারিতভাবে আলোচিত হলো:

প্রেক্ষাপট:

1. ইংরেজদের শোষণমূলক শাসন:

ইংরেজরা বাংলা ও উপমহাদেশে কৃষকদের উপর অত্যধিক কর চাপিয়ে দেয়, যার ফলে কৃষকরা নিঃস্ব হয়ে পড়েছিল। রায়জিয়া পদ্ধতি এবং জমিদারি ব্যবস্থা, যা ইংরেজদের শাসনের বৈধতা প্রদান করেছিল, কৃষকদের অর্থনৈতিক দুর্দশা বাড়িয়ে দেয়।

বাংলার হস্তশিল্প, শিল্পকলাও ইংরেজদের শাসনের কারণে ধ্বংস হতে থাকে। তাদের বাণিজ্যিক নীতি এবং স্থানীয় শিল্পের প্রতি অবজ্ঞা বাংলা অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

2. সামাজিক ও ধর্মীয় অস্থিরতা:

ইংরেজদের শাসন দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের উপর আঘাত হানে। ইংরেজদের কিছু সংস্কৃতিবিরোধী পদক্ষেপ, যেমন সনাতন ধর্মীয় রীতিনীতির প্রতি অবজ্ঞা এবং হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার প্রয়াস, মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে।

3. শাসন ব্যবস্থায় অবিচার এবং শোষণ:

ইংরেজরা বাংলা এবং উপমহাদেশের অন্যান্য অংশে অত্যন্ত শোষণমূলক নীতিমালা গ্রহণ করে। সাধারণ মানুষের অধিকার খর্ব করা হয়, এবং বিশেষ করে ভূমি রাজস্ব, শস্য ও কৃষির উপর অত্যাচারের কারণে জনতা তাদের বিরোধিতা শুরু করে।

বড় বড় আন্দোলন এবং প্রতিরোধ:

1. সিপাহী বিদ্রোহ (১৮৫৭):

এটি ছিল প্রথম বড় আকারে ভারতীয় প্রতিরোধ আন্দোলন। বাংলার সিপাহী এবং জনগণ ইংরেজদের শোষণ ও ধর্মীয় অবমাননার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে। যদিও বিদ্রোহ পুরোপুরি সফল হয়নি, তবে এটি ইংরেজদের জন্য এক সতর্ক সংকেত হিসেবে কাজ করেছিল এবং এটি পরবর্তী স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করে।

2. বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন (১৯০৫):

ব্রিটিশ শাসকরা বাংলাকে বিভক্ত করার জন্য বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনা করে, যা বাংলার রাজনৈতিক এবং সামাজিক ঐক্যকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে ছিল। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে উঠে, যা বাংলার মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবোধের জন্ম দেয় এবং পরবর্তী সময়ে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করে।

3. সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৮৫৫-১৮৫৬):

বাংলার সাঁওতাল উপজাতি ইংরেজদের ভূমি শোষণ এবং জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। এই বিদ্রোহ ছিল এক বৃহৎ গেরিলা যুদ্ধ, যেখানে সাঁওতালরা নিজেদের স্বাধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম করেন।

4. চিত্রাঙ্গদা ও অন্যান্য ক্ষুদ্র বিদ্রোহ:

বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে গেরিলা যুদ্ধ ও ক্ষুদ্র বিদ্রোহ চলতে থাকে। এই আন্দোলনগুলোর মাধ্যমে স্থানীয় জনগণ তাদের অধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম শুরু করে, যা পরবর্তী সময়ের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের ইন্ধন যোগায়।

এ আন্দোলনগুলোর তাৎপর্য:

1. জাতীয়তাবোধের উত্থান:

ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনগুলোর মাধ্যমে বাংলার জনগণের মধ্যে একটি শক্তিশালী জাতীয়তাবোধ সৃষ্টি হয়, যা পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য একটি ভিত্তি হয়ে ওঠে।

2. রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনতা:

এই আন্দোলনগুলির মাধ্যমে বাংলা এবং সমগ্র ভারতীয় জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। বাংলার লেখক, শিল্পী এবং সমাজকর্মীরা জাতীয় মুক্তি এবং স্বাধীনতার প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেন, এবং এটি একটি সাংস্কৃতিক জাগরণের সূচনা করে।

3. ইংরেজদের শোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ধারাবাহিকতা:

যদিও বেশিরভাগ আন্দোলনই সশস্ত্র বিদ্রোহে পরিণত হয়েছিল, তবে তারা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে একটি ধারাবাহিক প্রতিরোধ আন্দোলনের সূচনা করেছিল। এই আন্দোলনগুলোর মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষ শিখে যায় কিভাবে রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়।

4. আন্তর্জাতিক মহলে প্রভাব:

ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনগুলোর গুরুত্ব আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রতিফলিত হয়েছিল। বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারণা গড়ে ওঠে, এবং ভারতীয় উপমহাদেশের জাতীয় আন্দোলন একটি উদাহরণ হয়ে ওঠে।

এভাবে, ইংরেজ শাসনামলে বাংলায় প্রতিরোধ আন্দোলন শুধু দেশের অভ্যন্তরে নয়, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে কাজ করেছিল।
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

ইংরেজ শাসনামলে বাংলায় বিভিন্ন ধরণের প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। এই আন্দোলনগুলোর প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য আলোচনা করা হলো:

প্রেক্ষাপট:

 * রাজনৈতিক কারণ:

   * কোম্পানির শাসন: ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের মাধ্যমে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন শুরু হয়। এই শাসনের ফলে বাংলার নবাবদের ক্ষমতা কমে যায় এবং ব্রিটিশদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

   * প্রশাসনিক পরিবর্তন: ব্রিটিশরা তাদের নিজেদের সুবিধা মতো প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করে, যা বাংলার ঐতিহ্যবাহী সমাজ ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

   * বৈষম্যমূলক নীতি: ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের প্রতি বৈষম্যমূলক নীতি অনুসরণ করত, যার ফলে ভারতীয়দের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।

 * অর্থনৈতিক কারণ:

   * অর্থনৈতিক শোষণ: ব্রিটিশরা বাংলার সম্পদ নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করত। তারা বাংলার শিল্প ও বাণিজ্যকে ধ্বংস করে দেয় এবং এখানকার অর্থ ইংল্যান্ডে পাচার করে।

   * কৃষি ব্যবস্থার পরিবর্তন: ব্রিটিশদের প্রবর্তিত জমিদারি প্রথা ও অন্যান্য ভূমি রাজস্ব নীতির কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।

   * শিল্পের ধ্বংস: ব্রিটিশ নীতির কারণে বাংলার তাঁত শিল্পসহ অন্যান্য কুটির শিল্প ধ্বংস হয়ে যায়, যার ফলে অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়ে।

 * সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কারণ:

   * পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাব: ব্রিটিশ শাসনের ফলে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি বাংলায় প্রবেশ করে, যা এখানকার ঐতিহ্যবাহী সমাজ ও সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করে।

   * ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: খ্রিস্টান মিশনারিদের মাধ্যমে ধর্ম প্রচার এবং অন্যান্য কারণে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে।

বিভিন্ন প্রতিরোধ আন্দোলন:

 * ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ (১৭৬০-১৮০০): এটি ছিল প্রথম দিকের উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধ আন্দোলন। মজনু শাহ, ভবানী পাঠক প্রমুখের নেতৃত্বে এই বিদ্রোহ সংগঠিত হয়।

 * ফরাজি আন্দোলন (১৮১৮-১৮৭০): হাজী শরীয়তউল্লাহর নেতৃত্বে এই আন্দোলন শুরু হয়, যা ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কারের পাশাপাশি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধেও ছিল।

 * ওয়াহাবী আন্দোলন (১৮২০-১৮৭০): তিতুমীরের নেতৃত্বে এই আন্দোলন ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

 * নীল বিদ্রোহ (১৮৫৯): নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে কৃষকদের এই বিদ্রোহ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 * সিপাহী বিদ্রোহ (১৮৫৭): এই বিদ্রোহ ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের মতো বাংলাতেও প্রভাব ফেলেছিল।

 * বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন (১৯০৫-১৯১১): লর্ড কার্জনের বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন গড়ে ওঠে, যা জাতীয়তাবাদী চেতনা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

 * গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলন ও আইন অমান্য আন্দোলন (১৯২০-১৯৩০): এই আন্দোলনগুলো বাংলায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের গতি বাড়িয়ে দেয়।

তাৎপর্য:

 * জাতীয়তাবাদের উন্মেষ: এই আন্দোলনগুলোর মাধ্যমে বাংলায় জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটে।

 * রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি: এই আন্দোলনগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলে।

 * স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেরণা: এই আন্দোলনগুলো পরবর্তীকালে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেরণা হিসেবে কাজ করে।

 * ব্রিটিশ শাসনের ভিত দুর্বল: এই আন্দোলনগুলোর মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের ভিত দুর্বল হয়ে পড়ে।

ইংরেজ শাসনামলে বাংলায় সংগঠিত প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো বাংলার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই আন্দোলনগুলো একদিকে যেমন ব্রিটিশ শাসনের শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে ছিল, তেমনি অন্যদিকে এগুলি বাঙালি জাতির আত্মপরিচয় ও জাতীয়তাবোধ জাগরণেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।


এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
6 মে, 2021 "বাংলার ইতিহাস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Md.Sabbir
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর

36,270 টি প্রশ্ন

35,483 টি উত্তর

1,742 টি মন্তব্য

3,807 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
4 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 4 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 4058
গতকাল ভিজিট : 6762
সর্বমোট ভিজিট : 53208254
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...